ডেস্ক রিপোর্ট:
ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, যার ফলাফল জানা যাবে আগামী ৫ নভেম্বর। এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ট্রাম্পের জন্য আরও ৫৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন, যার ফলে তার মোট ব্যয় এখন ১৩২ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই বিশাল অর্থবহুল প্রচারণা রিপাবলিকানদের জয় নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক তার এই অর্থ ওয়াশিংটন ট্রাইফেক্টায় বিনিয়োগ করছেন, যা ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের বিড, হাউস এবং সিনেটে রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থনে ব্যয় হবে। মাস্কের এই আর্থিক সহায়তা সুইং স্টেটগুলোতে ট্রাম্পের পক্ষে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে পারে, যা হাউসে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথ সুগম করবে।
তাছাড়া, আমেরিকা পিএসি এর অধীনে একটি ডিজিটাল প্রচার চালানো হচ্ছে, যা তরুণ ভোটারদের লক্ষ্য করে এবং এতে নারী ভোটারদের মধ্যে কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা কমানোর ওপর বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে।
এদিকে মার্কিন বিচার বিভাগ একটি চিঠিতে সুপার পিএসিসিকে সতর্ক করেছে। সম্প্রতি, একটি সুপার পিএসি প্রতি দিন এক মিলিয়ন ডলারের একটি প্রোগ্রাম চালাচ্ছে, যেখানে সুইং স্টেটের নিবন্ধিত ভোটারদের অর্থের বিনিময়ে অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এই ধরনের আর্থিক প্রণোদনা ফেডারেল আইনের লঙ্ঘন হতে পারে, কারণ ভোট দিতে বা ভোটার নিবন্ধনে অর্থ প্রদান বেআইনি।