কুমিল্লাশুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেস্ট ক্রিকেটে এমন জয় প্রথম

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪ ১২:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর টাইগারদের নজর ছিল সিরিজ জয়ের দিকে—এমনটি জানিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৭৪ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায়। শঙ্কা ছিলো ফলো অনে পরারও। তবে সেখান থেকে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ১২ রান পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর তারপরের গল্প তো সবারই জানা।

দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী বোলার ও ব্যাটারদের দাপটে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের নতুন এক ইতিহাস লেখা হয়ে যায়। অনেকের মতে, এক ইনিংসে ৩০ রানের ব্যবধানে ছয় ব্যাটার হারানোর পর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেওয়ার কীর্তি এটাই প্রথম। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট পুরোটা জুড়েই ছিল বৃষ্টির চোখ রাঙানি। পাঁচ দিনের ম্যাচের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়, ফলে ম্যাচটি চার দিনের হয়ে যায়। এমন ম্যাচের শেষ দিনে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয়। আর এতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ঘরের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ নিতে হয়।

এর আগে পাকিস্তানকে এমন লজ্জায় ফেলেছিল ইংল্যান্ড, সেটি ২০২২ সালে; আর এবার তাদের দ্বিতীয়বারের মতো এমন লজ্জায় ডুবালো বাংলাদেশ। গত পরশু শেষ ইনিংসে ১৮৫ রান তাড়ায় ৪২ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য এদিন প্রয়োজন ছিল ১৪৩ রান। মঙ্গলবার জয়ের জন্য ধীরে সুস্থেই ব্যাট করতে থাকেন টাইগাররা। ম্যাচ সবসময় নিয়ন্ত্রণে ছিল। রান তাড়ায় কখনো মনে হয়নি বাংলাদেশ হারতে পারে। যদিও হারিয়েছে চারটি উইকেট, তবে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শান্তবাহিনী। ফলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দেশের বাইরে তৃতীয়বারের মতো টেস্ট সিরিজ জয় পায় বাংলাদেশ।

এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের বাইরে সাদা পোশাকে সিরিজ জয় পায় বাংলাদেশ। শেষদিনে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকা ওপেনার জাকির হাসান ৪০ রান করে ফেরেন সবার আগে। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিও কমে যায়। তিনে নামা অধিনায়ক শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যে ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন শান্ত ও মুমিনুল। দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা। দলীয় ১২৭ রানে ৩৮ রান করে শান্ত আউট হন।

জয়ের সময় মাঠে থাকতে পারেননি মুমিনুলও। দৃষ্টিকটু একটি শট খেলেই ৩৪ রান করে আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশের জয় এসেছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে। ৫১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ৪৩ বলে ২১ রানে সাকিব। যখন জয়ের জন্য ৪ রান প্রয়োজন ছিল, সাকিব তখন আবরারের করা ৫৬ ওভারের শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন।