কুমিল্লাশনিবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে শরীরে যে প্রভাব পড়ে, চিকিৎসকের পরামর্শ

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

এখন রাত হলেই বেশ ঠান্ডা লাগে, তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে শীত আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই। আর আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হন, বিশেষ করে জ্বরে ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ, সবাই এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে, অনেকেই জ্বর হওয়ার পর অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করে দেন, মনে করেন এতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আমাদের শরীরে এর প্রভাব কেমন হতে পারে, তা আমরা অনেকেই জানি না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মিত্র এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রভাব:
ডা. আশিস মিত্র বলেন, জ্বরের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জ্বরের জন্য ভাইরাস দায়ী, আর অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। এই ওষুধ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ফলে ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে তেমন কোনও উপকার পাওয়া যায় না। বরং শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে যা হতে পারে:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া, শুধুমাত্র দ্রুত সুস্থ হওয়ার আশায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এর ফলে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় সময় ওই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ নাও করতে পারে। তখন অন্য কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হয়। আর এইভাবে চলতে থাকলে একসময় এমন পরিস্থিতি আসতে পারে, যখন সহজ অসুখও ভালো করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই অযথা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়।

জ্বর হলে যা করবেন:
প্রথম ৩ দিন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শুধু প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত। এতে জ্বর কমে যাবে এবং গায়ে বা শরীরের ব্যথাও কমবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ২.৫ লিটার পানি পান করা উচিত। চাইলে ওআরএস পানিও খেতে পারেন।

খাবারের দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। খাদ্যতালিকায় শাক, সবজি ও ফল যুক্ত করুন। পাশাপাশি মুরগি, মাছ, ডিম, সোয়া বিন, টোফুর মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে:
যদি ৩ দিন পরও জ্বর না কমে, এবং গায়ে বা হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি বা ডায়রিয়া দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক যেসব টেস্ট করার পরামর্শ দেবেন, তা করাতে হবে। তারপর যদি তিনি মনে করেন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন আছে, তবে তা গ্রহণ করতে হবে। এর আগে নয়। আরও কোনো ওষুধের প্রয়োজন হলে, চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে হবে।