কুমিল্লাবুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়াসহ সবাইকে খালাস

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
নভেম্বর ২৭, ২০২৪ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল মঞ্জুর করে আজ বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গত ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।

এ নিয়ে গত ২০ নভেম্বর শুনানি হয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে।

আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তার আইনজীবীরা।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা, আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

শুনানিতে বিচারিক আদালতের রায়ের ঘটনাগত ও আইনগত অসংগতি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা।

এ মামলায় চার আসামির অন্যরা হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।