কুমিল্লাশুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চৌদ্দগ্রামে ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জলাবদ্ধতার কারণে ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানের ভবনের মেঝে, মাঠ এবং রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে এসব শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার একটি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে করে ১৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪৮টি মাদ্রাসা, ১টি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ১১টি কলেজসহ মোট ২৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু বিদ্যালয়ের বহুতল ভবনগুলোতে মানুষ আশ্রয় নেয়, ফলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আলকরা ইউনিয়নের বাককগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও পানি জমে আছে। এ কারণে বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, চারপাশে পানি জমে থাকার কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে তারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছে না। কিছু এলাকায় বাড়ির উঠানে এবং রাস্তায় পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ফলে পাঠদান শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকিনা বেগম জানান, উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭০টিতে পানি উঠেছে। এখনো ৭০টি বিদ্যালয়ের মেঝে, মাঠ এবং রাস্তায় পানি জমে রয়েছে। ফলে সেসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৬৭টি বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টয়লেট এবং ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পানি নেমে গেছে, সেগুলোতে পাঠদান শুরু হলেও চারপাশে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মীর হোসেন বলেন, পানি জমে থাকার কারণে উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনো চ্যালেঞ্জিং।