আকাশ আল মামুন, কুবি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনকে গলা টিপে এবং তাঁর মা তাহমিনা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। হত্যাকারীর নাম মোবারক হোসেন (২৯)। পেশায় তিনি একজন কবিরাজ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তবে হত্যার কারণ এখনো সাংবাদিকদের জানানো হয়নি৷
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, মোবারকের আগে থেকেই এই পরিবারে যাতায়াত ছিল। যে কারণে সে এই সুযোগটা নিয়েছে। তবে সে কেন হত্যা করেছে এটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। তিনি এই পরিবারে পানি পড়া আর ঝাড়ফুঁক করতেন। হত্যার আগে তিনি প্রায় তিন ঘন্টা ধরে তাদেরকে পানি পড়া ও ঝাড়ফুঁক করে অজ্ঞান করা হয়। এরপর তার মাকে শ্বাসরোধ করে এবং সুমাইয়াকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গতকাল দুপুর ২.৩০ টায় তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এখানে পরিবারের কেউ যুক্ত আছে কিনা সেটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। আমরা সব উদ্ধার করার চেষ্টা করতেছি। বিকালের মধ্যে আপনাদেরকে আমরা প্রেস রিলিজ দিয়ে দিব।
কবিরাজ মোবারককে দূর্গাপুর থেকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে পানি পড়া, ব্যাগ, জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়। নিয়মিত যাতায়াত করার কারণে সুমাইয়ার পরিবারের সাথে মোবারকের সখ্যতা তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার উত্তর কালিয়াজুড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগমকে হত্যা করা হয়। সেই রাতে ছিলো পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।












