ডেস্ক রিপোর্ট:
গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে কোনো টালবাহানা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
জুলাই ছাত্রদলের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, ‘তখন তুমুল আন্দোলন চলছে, আমি কারাগারে। সেখান থেকে শুনেছি তারুণ্যের উদ্দীপনা, তেজ। পুলিশ বলছে- গুলি করি একটা পড়ে যায়, আবার সেখানে এসে আরেকজন দাঁড়ায়। এই উদ্দীপনা দিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান, লেখা ও অনেক কবির লেখনীর মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতো। এমনকি বিগত পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হতো। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো, দাড়িওয়ালা ও টুপি পরা সব মানুষ কি খারাপ? না।’
রিজভী বলেন, ‘যার জন্য আমাদের ১৬ বছরের লড়াই, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
সেই গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা যাবে না। এই নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবহমান খরস্রোতা নদীর মতো।
এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই, আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের জায়গা নেই, সেখানেই গণতন্ত্র বয়ে যায়। সংস্কার হচ্ছে বয়ে যাওয়া।’
রিজভী বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা এখন বিএনপিকে শত্রু ভাবছে, তারা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার বাদ দিয়ে কিভাবে গণতন্ত্রের পরিবর্তে সংস্কারকে ভাবছে, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।’
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতিমান কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ।