কুমিল্লার কাউছার হত্যামামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ই আগষ্ট) রাতে লাকসাম থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা জিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই সময় মাঝিগাছা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন জিয়াউল হক জিয়া (২২) সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো: শাহিন মিয়ার ছেলে। এবং শিশু বিজয় হাসান(১৫)।
পুলিশ জানায়, কাউছার হত্যামামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এসআই এনায়েতউল্লাহর নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি, লাকসাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ থেকে মূল আসামী জিয়াউল হক জিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। এর সদর উপজেলার শ্রীপুর থেকে বিজয় হাসানকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
জিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটি তথ্য জানা যায়। জিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৪ নং আমলাতলী ইউনিয়নের মধ্যমমাঝিগাছার উত্তর পূর্বপাড়া গুংগুর নদীর ভিতরে জুয়েরের মাছ ধরার বেলের সামনে নদীর পূর্ব পাশ থেকে সুইচ গিয়ারটি উদ্ধার করা হয়।
এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আরো ৩ জনের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে হত্যাকান্ডের মূলহোতা জিয়াকে গ্রেফতার করে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়ে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৪ই জুলাই কোতয়ালী মডেল থানার ৪নং আমড়াতলী ইউনিয়নের মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামের সিঙ্গাপুর গলির তিন রাস্তার মোড়ে রাস্তার উপর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের ছেলে ভিকটিম কাউছার আহমেদ (২২)কে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা আইরিন সুলতানা পান্না বাদী হয়ে ১৫ই জুলাই এজাহারনামীয় ১২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা দায়ের করেন।