একদিনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী। বুধবার পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। এছাড়া আরোও ২৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে উপজেলা বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। জেলায় এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মোট ৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, তাদের সবারই শহরের বাইরে ভ্রমণের ঘটনা সাম্প্রতিক ঘটনা রয়েছে, জেলার বাইরে থেকে তো হয়ে এসব রোগী কুমিল্লা এসে থাকতে পারেন বলে এখনো ধারণা করছেন তারা।
তবে একদিনে হুট করে এত বেশি পরিমাণে রোগী ভর্তি হওয়াকে আশঙ্কা জনক মনে করছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, বুধবারের আগ পর্যন্ত চিকিৎসার দিন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলাসহ জেলার বাইরে থেকেও এসে মোট ২৬ জন রোগী বুধবার সারাদিনে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে একদিনে এত রোগী ভর্তি হয়নি ।
তিনি আরো বলেন, দাউদকান্দি, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও চান্দিনা এসব উপজেলা সহ মোট আটটি উপজেলার রোগে আছে কুমিল্লার ডেঙ্গু ইউনিটে। যা মূলত শংকার কারণ। তবে ভালো এখনো কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোন রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
এদিকে কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিঃসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুর প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। যে কারণে আমরা প্রতিটি উপজেলায় মাইকিং ও লিফটের বিতরণ করার জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন কেউ মূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জানানো হয়েছে। কোথাও যেন এডিস মশার বংশবিস্তার না হয় সেদিকে যা যা করণীয় তা করতে হবে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য খোলা হয়েছে। শিশু, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা ইউনিট তৈরি করে মোট ৭০ জনকে চিকিৎসা দেবার মত ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালটিতে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেছে এমন কোন তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এখন জ্বর হলেই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসকরাই মূলত দেখে বলতে পারবেন সাধারণ জ্বর কিংবা ডেঙ্গুজ্বর কোনটি। যে কারণে কোন হেলাফেলা না করে ও শরীর ব্যথা হলেই পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।