ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার লালমাইয়ে ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক শিশুর মাথার খুলি ও চারটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দুপুরে লালমাই থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের দাবি, উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি ও হাড়গুলো হালিমাতুছ সাদিয়া (৫) নামের এক শিশুর, যে ৯ মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের মধ্যম ছিলোনিয়া গ্রামের একটি দিঘির পানি শুকিয়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে গ্রামবাসী মাছ ধরছিল। রবিবার বিকেলে দিঘির পূর্ব-দক্ষিণের একটি ডোবায় মাছ ধরার সময় কলিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি কচ্ছপের মতো একটি বস্তু দেখে তা তুলে ফেলেন। পরিষ্কার করে দেখেন সেটি একটি শিশুর মাথার খুলি। পরে তিনি ডোবায় আরও খোঁজাখুঁজি করে চারটি হাড় উদ্ধার করেন।
পুলিশ ও পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ জুলাই বিকেলে হালিমাতুছ সাদিয়াকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। শিশুটির মা আয়েশা ছিদ্দিকা সাজু জানান, সে সময় আন্দোলনের কারণে পুলিশি তদন্ত ঠিকমতো হয়নি। তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও পরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে প্রতিবেশী দু’জনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি মা আয়েশার বড় মেয়ের সাবেক স্বামীর বোন।
আয়েশা ছিদ্দিকা আরও অভিযোগ করেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেই তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার দাবি, নিখোঁজ হওয়ার কয়েক মাস পরেও গ্রেফতার হওয়া ওই নারীর বাসায় তার মেয়েকে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমার কাছে সব প্রমাণ সংরক্ষিত আছে।”
পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনায়েত উল্যাহ বলেন, শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর দিঘিতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল, যেখানে তার জুতা পাওয়া গিয়েছিল। এখন দিঘিতেই তার খুলি ও হাড় মিলেছে। তিনি পুলিশের তদন্ত কামনা করে বলেন, “অপরাধীর দ্রুত বিচার চাই।”
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, উদ্ধারকৃত মাথার খুলি ও হাড়গুলো শিশুটির কি না, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।