কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে সকল বিভাগের অপারেশন থিয়েটার ও আই সি ইউ উদ্বোধন করেছেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। এ সময় হাসপাতালের উন্নত মানের প্যাথলজি ল্যাব, আল্ট্রাসনোগ্রাফী, এড্রোসকপি,ইসিজি, এক্সরেসহ সকল পরিক্ষা নীরিক্ষাগার পরিদর্শন করেন জিওসি।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ও আই সি ইউ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন । এ সময় ষ্টেশন কমান্ডার, এসএমআই কমান্ডার , ৪৪ ব্রিগেড কমান্ডার , সিএমএইচ কমান্ডার ,কর্ণেল ষ্টাফ, ওসি এমপি, ওসি এফ আই ইউ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালটি ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র ডায়াগনষ্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর ১০ শয্যা বিশিষ্ট ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হয়। ২০১৬ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় এবং ২০১৯ সালে ৭২ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে মেডিসিন, গাইনী, সার্জারি, অর্থোপেডিক, চক্ষু, ইএনটি, বক্ষব্যাধি ও শিশু রোগের আউট ডোর ও ইনডোর চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি ৩টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ মুমূর্ষ রোগিদের সব ধরনের জরুরি চিকিৎসার সুবিধা সম্বলিত আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও উন্নত মানের প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, আল্ট্রা সনোগ্রাফি, ইসিজি, এন্ডাসকপি, এক্সরেসহ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ রয়েছে।
কুমিল্লা, চাদঁপুর, বি-বাড়িয়া, নোয়াখালি, লক্ষীপুরসহ অন্যান্য জেলা সমূহ হতে আগত রোগিগণ এখানে সেবা পাচ্ছেন। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ১৮ জন সামরিক ও ১১ জন বেসামরিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ সর্বমোট ২৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। দেশের প্রচলিত প্রাইভেট/বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় এখানের চিকিৎসার ব্যয়ভার অনেক কম হওয়ায় রোগিরা এখানে খুব স্বাচ্ছন্দের সাথে সেবা গ্রহণ করে থাকে। আর্থিক সামর্থে্যর কথা চিন্তা করে রোগিদের চিকিৎসা সেবায় এখানে বিশেষ মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।