কুমিল্লাসোমবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুমিল্লার চান্দিনায় প্রেমিক যুগলের আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিও ধারণ করায় দারোয়ানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
আগস্ট ১৮, ২০২৫ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার চান্দিনায় আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিও ধারণ করায় এক দারোয়ানকে চারতলার ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে গত শনিবার রাত ৯টায় চান্দিনা উপজেলা সদরের পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক শিহাব মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দাঁড়োয়ান সোহেল মিয়া দেবীদ্বার উপজেলার সুলতপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর (গজারিয়া) গ্রামের ইমতিয়াজ মিয়ার ছেলে। সে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ইসলাম ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে দারোয়ানের চাকুরি করতেন।

অভিযুক্তরা হলেন- কোরপাই সাদাত জুট মিলের শ্রমিক আহাদ মিয়া (১৭)। একই কারখানার নারী শ্রমিক ফেরদৌসী আক্তার (২০)।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ-উল-ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বাসার নিচতলায় ভাড়ায় বসবাস করতেন মাকসুদা আক্তার খুকি নামের এক নারী। তিনি স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে কাজ করেন। তার বড় বোন রত্না বেগম ও তার ছেলে আহাদ মিয়া (১৭) পার্শ্ববর্তী কোরপাই সাদাত জুট মিলে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। কাজের সুবাদে ওই মিলের নারী শ্রমিক ফেরদৌসী আক্তারের (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আহাদ মিয়ার। খালা হাসপাতালে থাকায় গত ১৬ আগস্ট রাত ৮টায় প্রেমিকা ফেরদৌসীকে খালার বাসায় নিয়ে আসেন আহাদ।

এ সময় বাসার ছাদে উঠে প্রেমিক যুগল। একপর্যায়ে দাঁরোয়ান সোহেল বাসার ছাদে উঠে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় প্রেমিক যুগলের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাসার ছাদ থেকে পড়ে যায় সোহেল মিয়া। পরে আহতাবস্থায় সোহেলকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সোমবার সকালে সোহেলের মৃত্যু হয়।

বাসার মালিক শিহাব জানায়, ‘গত শনিবার রাতে খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে চান্দিনার বাসায় আসি। পরে পুলিশ এসে প্রাথমিকভাবে বিস্তারিত জানেন। প্রেমিক যুগল কাউকেই আমি চিনি না। আর নিহত সোহেল আমার ফার্মের দারোয়ানের চাকুরি করতো।’

আহাদ মিয়ার খালা মাকসুদা আক্তার খুকি জানায়, ‘আমি হাসপাতালে যাওয়ার সময় বাসায় তালা দিয়ে যাই। রাত ৯টায় এ ঘটনা শুনে বাসায় এসে দেখি বাসায় পুলিশসহ অনেক মানুষ। আমার বোনের ছেলে এবং ওই মেয়েকে আমি বাসায় এসে পাইনি।’

ওসি জাবেদ উল ইসলাম জানায়, ‘গত শনিবার রাতে এ ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তখন আহতের পরিবার জানায়, চিকিৎসা কাজ শেষ করে থানায় অভিযোগ করবেন। সোমবার সকালে আহত যুবকের মুত্যুর পর আমরা যোগাযোগ করার পর নিহতের মা জানিয়েছেন তারা মামলা করবে না।’