ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লায় জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ১২৫ জনের। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৩ শতাংশ। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ ৫ হাজার ৭৪৯ জন, যেখানে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮০ জন। আর কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ২৭০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও রেজিস্ট্রেশন হয়েছে চার লাখ ৪২ হাজার ৪৪৫ জন।
এই অগ্রগতি তুলে ধরতে ও সচেতনতা বাড়াতে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদকর্মীদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কনসালটেশন কর্মশালা।
জেলা তথ্য অফিস, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া জামারিন আনসারী।
স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক। আলোচনায় অংশ নেন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, মীর শাহ আলম, সাদিক মামুন, কামাল উদ্দিনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে টাইফয়েড সংক্রমণের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি থাকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোররা। এ বয়সী সবাইকে এক ডোজ টিসিভি টিকা দেওয়া হলে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
আসন্ন ক্যাম্পেইনে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই এবং স্কুলের বাইরে থাকা শিশুরা ইপিআইর স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা পাবে।
সিভিল সার্জন জানান, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে যারা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না, তাদের এনালগ পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ এগোচ্ছে, আশা করি নির্ধারিত সময়ে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।












