ডেস্ক রিপোর্ট:
লাকসামে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় শ্বশুর মো. চাঁন মিয়াকে (৭০) ছুরিকাঘাত ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ তাসলিমা আক্তারকে (৪১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তাসলিমা আক্তার জেলার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। নিহত চাঁন মিয়া স্থানীয় একটি মসজিদের মোয়াজ্জেমের দায়িত্ব পালন করতেন।
আদালত সূত্র জানায়, নিহত মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করার সুবাদে তিনি সেখানে থাকতেন। সেই সুযোগে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম জড়িয়ে পড়েন।
বিষয়টি জানতে পেরে পুত্রবধূকে বাধা দেওয়া হলে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে এবং ব্লেড দিয়ে শ্বশুর চাঁন মিয়ার পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেন তাসলিমা। এ ঘটনায় পরদিন ১১ জুলাই লাকসাম থানায় নিহত চাঁন মিয়ার আপর ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে তাসলিমাসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. এনামুল হক ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (অভিযোগপত্র নং-১৪৫)। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ মামলার চার্জগঠন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।