ডেস্ক রিপোর্ট:
ফেসবুকে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লার বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেত্রী। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।
রোববার (২৭ জুলাই) পোস্টের বিষয়টি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের বাসিন্দা মৃত কবির হোসেনের মেয়ে। কেয়া কোম্পানিগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেয়া আবেগঘন পোস্টে কেয়া লিখেন, ‘আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (গতকাল শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।’
‘যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।’
খাদিজা আক্তার কেয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল। যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কুমিল্লার জেলা সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেয়ার পদত্যাগের বিষয়টি জেনেছি। তবে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিক চিঠি (পদত্যাগপত্র) পাইনি। সে যে বিষয়গুলো অভিযোগ করেছে, আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখব। আমরা তো আর সবাইকে চিনি না। এনসিপির প্রোগ্রামে যদি আওয়ামী লীগের কেউ এসে থাকে, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।’