ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লটারির ফলাফলে একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণির প্রভাতি শিফটের তালিকায় আরাফাত হোসেন নামে একজন ছেলে শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষা প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফরম পূরণের সময় ভুলবশত বালিকা বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করায় এই বিভ্রাট ঘটেছে। তবে ওই শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি তার ছেলের পছন্দের তালিকায় বালিকা বিদ্যালয়ের নাম দেননি। তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা হাইস্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম দিয়েছিলেন।
বিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত লটারির ফলাফলে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতি শিফটের ১১০ জন শিক্ষার্থীর তালিকায় ৪১ নম্বরে আরাফাত হোসেনের নাম দেখা যায়। জানা গেছে, আরাফাত স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, “লটারিতে আমাদের স্কুলে একজন ছেলে শিক্ষার্থীর নাম চলে এসেছে। এটি অভিভাবকদের ভুলের কারণে হয়েছে। আমাদের স্কুলে ছেলেদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই, তাই তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমে ১২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের জন্য ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন গ্রহণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অনুসরণ করে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।