ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লায় একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি খুঁড়ে একটি গোখরা সাপসহ মোট ১৭টি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের ছোটশালঘর গ্রামের মো. শাহজাহান হাজারীর বাড়ির সীমানা বাউন্ডারির নিচের মাটি খুঁড়ে স্থানীয় সাপুড়ে মো. আলাউদ্দিন ওঝা সাপগুলো উদ্ধার করেন। সাপগুলো উদ্ধার হওয়ার পর গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ভিড় জমান সাপগুলো দেখতে।
বাড়ির মালিক মো. শাহজাহান হাজারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমার ছেলের বউকে দুইবার কামড় দিয়েছে গোখরা সাপ। ঘটনার দুদিন পর আমার ভাতিজা ও ছেলেকেও বিষধর সাপ ছোবল মারে। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে আমরা পুরো পরিবার আতঙ্কে ছিলাম। পরে স্থানীয় সাপুড়ে আলাউদ্দিন ওঝাকে খবর দিলে তিনি এসে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের দেয়ালের মাটি খুঁড়ে একটি পূর্ণ বয়স্ক গোখরা সাপসহ মোট ১৭টি বাচ্চা উদ্ধার করে তার হেফাজতে নিয়ে যান। আমাদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। যাদের ছোবল দিয়েছে তারা বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। এরই মধ্যে শাহজাহান হাজারীর ঘরের তিনজনকে বিষধর সাপ ছোবল দিলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আরো অনেক বাড়িতে সাপ থাকতে পারে। গ্রামের সবাইকে সর্তক হয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে।’
সাপুড়ে মো. আলাউদ্দিন ওঝা বলেন, ‘বাড়ির সীমানা দেয়ালের নিচে সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিক শাহজাহান হাজারী আমাকে খবর দেন। পরে আমি সীমানা দেয়ালের মাটি খুঁড়ে একটি বয়স্ক গোখরা সাপসহ মোট ১৭টি বাচ্চা উদ্ধার করি। উদ্ধার করা সাপগুলো বিষধর গোখরা প্রজাতির। সময়মতো উদ্ধার করতে না পারলে বাড়ির অনেকেই বিপদের মুখে পড়তে হতো।’
স্থানীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এই সময়ে গ্রাম-গঞ্জে সাপের উপদ্রব বাড়তে পারে। তবে সাপ দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন বা প্রাণী সম্পদ অফিসে খবর দেওয়া উচিত। এরপর যদি কাউকে সাপে দংশন করে তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।’












