কুমিল্লার আরও একটি উপজেলা নতুন করে ভয়াবহ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গোমতী নদী ও ঘুংঘুর নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম ডুবে গেছে। হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে পারেনি। এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে, পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত গ্রামগুলো পানির নিচে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত ২২ আগস্ট রাতে গোমতীর বুড়িচং উপজেলার বুরবুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে রাতারাতি বুড়িচং উপজেলা প্লাবিত হয়। পরদিন সকাল থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ে। ২৩ আগস্ট ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা ঘুংঘুর নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে উপজেলায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে পানির স্রোত আরও বেড়ে যায় এবং উপজেলার চারটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম, যেমন মালাপাড়া, সাহেবাবাদ, শশীদল, নাইঘর, নোয়াপাড়া, কল্পবাস, ধান্যদৌল, ডগ্রাপাড়া, ব্রাহ্মণপাড়া সদর, নাগাইশ, বড় দুশিয়া, এবং চান্দলার গ্রাম প্লাবিত হয়। পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িতে, যার ফলে ওই অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল থেকে কিছু কিছু এলাকা জলমগ্ন ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে প্রবল বেগে পানি ঢুকে প্রায় ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। খবর পেয়ে সকাল থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এদের মাঝে শুকনো খাবার, পানি এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।