ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১৬ ঘণ্টা পর বিমল চন্দ্র দাস (৩১) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কুড়াখাল গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ডিপ টিউবওয়েলের নালার গর্তে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত উপজেলার ভাণী ইউনিয়নের আসাদনগর গ্রাম হিন্দুপাড়া কোনাবাড়ির দিলীপ চন্দ্র দাসের ছোট ছেলে।
মৃতের বড় ভাই বাদল চন্দ্র দাস জানান, আমরা ২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে বিমল ছিল মেজো এবং অত্যন্ত মেধাবী। তাকে মেডিক্যালে পড়ানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ২০১০ সালে সে মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে এমএ পাস করে। মানসিক রোগের কারণে বেকার ছিল। ২০২৩ সালে তার বিয়ে হলেও পারিবারিক কারণে ২০২৪ সালে বিচ্ছেদ ঘটে।
মৃতের বাবা দিলীপ চন্দ্র দাস জানান, রবিবার সকাল ৮টার দিকে মুড়ি খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় গিয়ে ছেলেকে শনাক্ত করি।
দেবীদ্বার থানার ওসি বলেন, বিমল মানসিক রোগী ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে কুড়াখাল গ্রামের ডিপ টিউবওয়েলের নালার গর্তে পড়ে যান। পাশের এক প্রবাসীর স্ত্রী শব্দ পেয়ে লোকজন ডাকেন। তখন ইউছুফ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি গিয়ে দেখেন, তিনি কাদায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আসাদনগর গ্রামের রাস্তা খোঁজ করেন। পরে সেখান থেকে উঠে কিছুদূর গিয়ে তিনি আবারও নালায় পড়ে যান। তার গোঙানির শব্দ শুনে আরেক ব্যক্তি ৯৯৯-এ ফোন করেন। তবে পুলিশ আসার আগেই মারা যান তিনি। পুলিশ গিয়ে অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ উদ্ধার করে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) দেবীদ্বার-বি-পাড়া সার্কেল মোহাম্মদ শাহীন বলেন, নিহতের মুখমণ্ডলে টিনের কাটা দাগ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সময় নালার পাশের টিনে আঘাত লেগে এই দাগ হয়। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।












