কুমিল্লাবৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-শিক্ষক দ্বন্দ্ব

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
অক্টোবর ৩, ২০২৩ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুবি প্রতিনিধি:

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বঙ্গবন্ধু কাপ আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে উপাচার্যের সামনেই এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ২-০ গোলে আইন বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। তবে খেলা শেষে পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তের অভিযোগ এনে রেফারির দিকে তেড়ে যান আইন বিভাগের খেলোয়াড়রা। এসময় সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত তাঁদেরকে থামাতে এগিয়ে গেলে তাঁর সাথে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি ঘটে। এক পর্যায়ে অমিত দত্তকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর নাজমুল হোসেন হৃদয় নামে এক শিক্ষার্থী দৌড়ে চলে যেতে লাগলে তাঁকে বাধা দেন ক্রিড়া কমিটির আহ্বায়ক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আইনুল হক। এরপর তাঁকে মারধর করেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা। এসময় আবারও হাতাহাতি শুরু হলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীও সেখানে গিয়ে যুক্ত হোন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সে ফুটেজে এসবের সত্যতা মিলেছে।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘উদ্ধুত পরিস্থিতে প্রক্টরিয়াল বডির যে কাজ ছিল, আমি তা-ই করেছি। শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যাচ্ছিলো। আমি থামাতে গেলে তাঁরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি দু’বার মাটিতে পড়ে গিয়েছি।’

তবে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল উল্টো দাবি করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খেলা শেষে আমি স্টেজের পাশেই ছিলাম। হুড়োহুড়ির মধ্যে অমিত স্যার আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি যখন উঠি তখন আবার আমাকে ফেলে দিয়েছে। তিন জন স্যার, রানা স্যার (প্রক্টর ওমর সিদ্দিকী), অমিত স্যার, লাল শার্ট পরা আরেকজন (আইনুল হক)। তাঁরা আমার কলার চেপে ধরে। তারপর রানা স্যার আমাকে চড়-থাপ্পড় মারে। পিছন থেকে আমাকে গলা চেপে ধরে। ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আমার ব্লিডিং হয়েছে।’

আইন বিভাগের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের দলের ছেলেরা হৈহুল্লোড় করে। এরপর অমিত স্যার আমাদের একজনের কলার ধরে নিচে ফেলে মারধর করে। শিক্ষকের এমন মারধর দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি।’

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কাউকে মারিনি। প্রক্টরিয়াল বডি নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে।’

ক্রিড়া কমিটির আহ্বায়ক মো. আইনুল হক বলেন, ঘটনার সময় দেখলাম একটা ছেলে দৌড়াচ্ছে। তখন তার দৌড় দেখে মনে হলো কেন সে দৌড়াচ্ছে। তখন তাকে আটকানোর চেষ্টা করলাম। পরে শুনলাম ছেলেটা রেফারির সাথে উদ্ধত হয়েছে। খেলায় যারা পরাজিত হয় তাদের একটা অভিযোগ থাকে। রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ সত্য নয়।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে প্রতিবেদকের কল কেটে দেন।