ডেস্ক রিপোর্ট:
সাধারণত বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী শেষ পরীক্ষা হওয়ার পর দুই তিন দিন বাদ দিয়ে স্থগিত পরীক্ষা নেয়া হয়। সে হিসেবে ২২ তারিখের পরীক্ষা যেদিন হবে, সেদিন সকালে হবে। আর ২৪ তারিখের পরীক্ষা যেদিন হবে, সেদিন বিকেলে হবে। কাল-পরশুর মধ্যে স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার সুনির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেবে বোর্ড।
বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানায়, পরীক্ষা দুটি ঠিক কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা কাল-পরশুর মধ্যে জানিয়ে দেবে বোর্ড।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ। প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সবার হয়ে শোক জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে দোয়া মাহফিল হয়েছে। মাইলস্টোনের দুর্ঘটনা শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, আরও বৃহত্তর বিষয়। এটি একটি মর্মান্তিক, বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দিন রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম। যখন বাসায় ফিরছি তখন পরীক্ষার বিষয়টি সামনে এল। কেউ কেউ চাচ্ছিলেন পরীক্ষা পেছানো হোক। পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হুট করে নেয়া যায় না। কারো একক এখতিয়ারও নেই পেছানোর। যখনই পরীক্ষার পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারপরেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, কারো কারো ধারণা রয়েছে, এককভাবে অনেক আগেই পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সে বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন, এই ব্যাখ্যা জানার পর তাদের ধারণা পাল্টাবে বলে মনে করি। কেন পরীক্ষা হলো না তা নিয়ে অনেক পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরও অসন্তুষ্টি রয়েছে। সেটাও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হুট করে নেয়া যায় না। আগে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি সঙ্গত কারণে।
শিক্ষা সচিবকে অব্যাহতির বিষয়টি একটি উচ্চতর কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা যুক্ত ছিলেন না বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে বলেন, কেন অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলতে পারব না। আমার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। আমার নিজে থেকে পদত্যাগের কোনো অভিপ্রায় নেই। আমার কাজের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না। আমার নিয়োগকর্তাও রয়েছেন। তারা যদি মনে করেন আমার ব্যত্যয় রয়েছে, তাহলে যেতে বললে অবশ্যই চলে যাব। আঁকড়ে ধরার কিংবা নিজেকে জাস্টিফাই করার কিছু নেই।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, মাইলস্টোনে গিয়েছিলাম সরকারের পক্ষ থেকে শোক জানাতে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। দুই-একটি যেগুলো সংবেদনশীল দাবি রয়েছে, সেগুলো নিয়েও গতকাল আলাপ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সরকার বিবেচনা করছে, সে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি। তাদের দাবির বিষয়ে সরকার সংবেদনশীল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে কাজ করব। কিছু দাবি পূরণে সময় লাগবে। অবশ্যই সুচিকিৎসার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করব।