ডেস্ক রিপোর্ট:
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। এ সময় আরও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জনে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সারাদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার ভোরেও একটি বাসাবাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য প্রস্তুত ৩ হাজার ট্রাক সীমান্তে আটকা পড়ে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান এই পরিস্থিতিকে ‘জঘন্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজার শিশুরা এখন মারাত্মক খাদ্য সংকটে ভুগছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের কাছে গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ৯২ শতাংশ শিশু ও গর্ভবতী নারী তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছেন। আল জাজিরার গাজা সংবাদদাতা ইসরায়েলের ৬০ দিনের অবরোধকে ‘সচেতনভাবে বেসামরিক জনগণকে শ্বাসরুদ্ধ করা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪১৮ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, গতকাল ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৭ জন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনেক নিহত ও আহত এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, কিন্তু উদ্ধারকারী দলগুলো নিরাপত্তাহীনতা ও অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।