ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, “বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৪০ শতাংশ তছরুপ হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে। আগামী জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে সরকারকে অর্থনৈতিক সংস্কারে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করতে হবে এবং দায়বদ্ধতা আরও বাড়াতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই সরকার হয়তো পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।”
এর আগে, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকারের সময়ে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র উঠে এসেছে, যা আগের সরকারের আমলে বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির বিশদ বিবরণ তুলে ধরে।